২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইলেকট্রনিকস খাতে ভারত-নির্ভরতা বাড়ছে

-

ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে বৈশ্বিক পর্যায়ে আলাদা অবস্থান তৈরি করেছে ভারত। টেলিকম ও ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদনে নতুন মাত্রা যোগ করায় দেশটির ক্রমবর্ধমান খাতগুলোয় কাজ করতে আগ্রহী হয়ে উঠছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেডিট রেটিং সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্সের প্রেসিডেন্ট অ্যাডাম ক্যানসলার বলেন, বিশ্বের শীর্ষ কোম্পানিগুলোকে আকৃষ্ট করার দিক থেকে ভারতের টেলিকম ও ইলেকট্রনিকস খাতগুলো এগিয়ে রয়েছে। কেস স্টাডিতে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে ভারত বিশ্বের অন্যতম ডিজিটাল দেশে পরিণত হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে ভারত ২০২৪ সালে বৈশ্বিক পর্যায়ে আরো ভালো অবস্থান তৈরি করতে পারবে।

জি-২০-ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে ভারত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হিসেবে ভবিষ্যতে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারত গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করবে। ভারতে শ্রমবাজার তরুণনির্ভর। সরকার গৃহীত পদক্ষেপের কারণে ৩০টির বেশি খাতে উচ্চতর দক্ষতা অর্জনে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক কাজ করছে। ভারতে বর্তমানে তিনটি বিষয় রয়েছে, যেগুলোর ওপর আমরা নজর রাখছি। এগুলো হলো- সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শ্রমবাজারের সম্ভাবনা ও বিশ্ব বাণিজ্যে ভারতের ভূমিকা।

এসঅ্যান্ডপির মতে, এক দশকে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রবাহ দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে প্রতিফলিত করে। আগের দেয়া এক পূর্বাভাসে সংস্থাটি জানায়, ২০৩০ সাল নাগাদ ভারতের ১১০ কোটি অধিবাসী ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা পাবে। এ ছাড়া ই-কমার্সের ক্রমবর্ধমান বাজার ও ফোরজি থেকে ফাইভজি স্মার্টফোন প্রযুক্তিতে স্থানান্তর হওয়ার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে মূলধন কোম্পানির সংখ্যাও বাড়বে।
সরবরাহ চেইনে বর্তমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগাচ্ছে ভারত। ২০৩০ সাল নাগাদ ভারতের জিডিপিতে উৎপাদন খাতের অংশগ্রহণ হার ২০ শতাংশে উন্নীত হবে। একই সময় পরিষেবা খাতের হিস্যাও ৫৬ শতাংশ ছাড়াবে বলে জানানো হয়। সংস্থাটি জানায়, এ সময়ের মধ্যে বিশ্ববাণ্যিজ্যে ভারতে রফতানি ১৩০ শতাংশ ও আমদানি বেড়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত হবে।
দুই দশকেরও বেশি সময় আগে বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তি খাতে মহাশক্তিধর হয়ে উঠতে কাজ শুরু করে ভারত। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে সম্পদ ও কর্মসংস্থানের একটি নতুন যুগের সূচনা হয়, যা এর আগে অন্য কেউ দেখেনি। আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল ইন্টারনেট ব্যবসায় বিপুল বিনিয়োগ করছে; যার সুবাদে ভারতের প্রযুক্তি খাতে এতটা সমৃদ্ধি এসেছে। সব মিলিয়ে এশিয়ার এই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি এখন প্রযুক্তির সুবিশাল সীমানায় পরবর্তী বড় খেলোয়াড় হয়ে উঠতে যাচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement